প্রতি রিফ্রেশে পবিত্র কোরআনের আয়াতের বাংলা অনুবাদ

Thursday, March 24, 2016

দুনিয়াতে ঐশ্বর্যের প্রাচুর্য বিপর্যয়ের কারণঃ

দুনিয়াতে ঐশ্বর্যের প্রাচুর্য বিপর্যয়ের কারণঃ
Bismillahir Rahmanir Rahim
"যদি আল্লাহ তার সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন"
১. সূরার নাম-সূরা শূরা
২. সূরা নং-৪২
৩. আয়াত নং-২৭
৪. পৃষ্ঠা-৪৮৭ (হাফিজি কোরআন)
৫. পারা-২৫
৬. তাফসীর পৃষ্ঠা-১২১৬ (তাফসীরে মাআরিফুল কোরআন)

আয়াতে বলা হয়েছে যে, দুনিয়ার সব মানুষকে সব রকম রিযিক ও নেয়ামত প্রচুর পরিমাণে দেয়া হলে তাদের পারস্পরিক হানাহানি সীমা ছাড়িয়ে যেত। কারণ ধন-সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে কেউ কারও মুখাপেক্ষী থাকত না এবং কেউ কারও কাছে নতী স্বীকার করত না। অপরদিকে ধনাঢ্যতার এক বৈশিষ্ট্য এই যে, ধন যতই বাড়ে, লোভ-লালসাও ততই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে এর অপরিহার্য পরিণতি দাঁড়াত এই যে, একে অপরের সম্পত্তি করায়াত্ত করার জন্যে জোরজবরদস্তির প্রয়োগ ব্যাপক হয়ে যেত। মারামরি-কাটাকাটি ও অন্যান্য কুকর্ম সীমা ছাড়িয়ে যেত। তাই আল্লাহ্ তাআলা সব মানুষকে সব রকম নেয়ামত না দিয়ে এভাবে বন্টন করেছেন যে, কাউকে ধন সম্পদ বেশী দিয়েছেন, কাউকে স্বাস্থ্য ও শক্তি অধিক পরিমাণে যুগিয়েছেন, কাউকে রূপ ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন এবং কাউকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অপরের তুলনায় বেশী সরবরাহ করেছেন। ফলে প্রত্যেকেই কোন না কোন বিষয়ে অপরের মুখাপেক্ষী এবং এই পারস্পারিক মুখাপেক্ষিতার উপরই সভ্যতার ভীত প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
"ইন্নাহু বি-ইবাদিহী খবিরুম্‌ বাছির" বাক্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআ'লা সম্যক জানেন কার জন্য কোন নেয়ামত উপযুক্ত এবং কোন নেয়ামত ক্ষতিকর। তাই তিনি প্রত্যেককে তার উপযোগী নেয়ামত দান করেছেন। তিনি যদি কারও কাছ থেকে কোন নেয়ামত ছিনিয়ে নেন, তবে সমগ্র বিশ্বের উপযোগিতার ভিত্তিতেই ছিনিয়ে নেন। এটা মোটেই জরুরী নয় যে, আমরা প্রত্যেক ব্যক্তি উপযোগিতা বুঝতে সক্ষম হব। কারণ এখানে প্রত্যেকেই তার জ্ঞানের এক সীমিত পরিধির মধ্যে চিন্তা-ভাবনা করে। আর আল্লাহ্ তাআ'লার সামনে রয়েছে সমগ্র বিশ্বজগতের অন্তহীন উপযোগিতার ক্ষেত্র। কাজেই তাঁর সমস্ত রহস্য অবগত হওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভবপর নয়। এর একটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য দৃষ্টান্ত এই যে, একজন ন্যায়পরায়ন রাষ্ট্রপ্রধান মাঝে মাঝে ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থের পরিপন্থী নির্দেশও জারি করেন। ফলে তারা বিপদাপদের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। বিপদে পতিত ব্যক্তি যেহেতু নিজ স্বার্থের সীমিত গণ্ডিতে থেকে চিন্তা করে, তাই রাষ্ট্রপ্রধানের এই পদক্ষেপ তার দৃষ্টিতে অযৌক্তিক ও অসমীচীন প্রতিপন্ন হওয়া অসম্ভব নয়। কিন্তু যার দৃষ্টি গোটা দেশ ও জাতির প্রতি নিবদ্ধ এবং যে মনে করে যে, ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে গোটা দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দেয়া যায় না, সে এই পদক্ষেপকে মন্দ্র বলতে পারেনা। অতএব, যে সত্তা সমগ্র বিশ্বজগত পরিচালনা করছেন, তাঁর প্রজ্ঞা ও রহস্য মানুষ কিরুপে পুরোপুরি বুঝতে সক্ষ হবে? এই দৃষ্টিকোণে চিন্তা করলে কোন ব্যক্তিকে বিপদাপদে পতিত দেখে মনে যেসব কুধারণা ও জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হয়, সেগুলো আপনা আপনিই উরে যেতে পারে।
এ আয়াত থেকে আরও জানা যায় যে, বিশ্বের সব মানুষই সমান ধন-সম্পদের অধিকারী হোক এটা সম্ভবপর নয়, কাম্যও নয় এবং বিশ্ব ব্যবস্থাপনার সৃষ্টিগত উপযোগিতাও এর পক্ষে নয়।
আল্লাহ্‌ আমাদের বোঝার ও মানার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Thursday, January 7, 2016

Tafsire Maa'riful Quran, Flash Quran, Quran Flash, Flash Koran

কোরআনের পরিচয়ঃ
জ্ঞানবিজ্ঞানের মূল উত্‌স হল চারটি. কোরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াস. এর মধ্যে প্রধান হল কোরআন পাক, পরবর্তী উত্‌স হাদীসের গুরুত্বও কোন অংশে কম নয়. প্রকৃতপক্ষে হাদীস হল কোরআনের বিশদ ব্যাখ্যা ও প্রাসংগিক আলোচনা. এটা মহান আল্লাহ্‌ পাকের অনুমোদিত জীবন ব্যবস্থা. সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব. মুসলমানদের অনুসৃত পবিত্র মহাগ্রন্থ. কোরআন পাকের উপরই ইসলামের সম্পূর্ণ কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে. ইসলামের নীতি ও কানুন সংক্রান্ত যে কোন আলোচনা বা মৌলিক কথা কোরআন পাকে চূড়ান্ত দলিল হিসেবে স্বীকৃত. আরবী কারউন ধাতু থেকে কোরআন শব্দের উত্‌পত্তি. এর আভিধানিক অর্থ পড়া. কিন্তু সবোর্ত্তম এবং সামগ্রিক অর্থ হচ্ছে তিলাওয়াত করা, আবৃত্থি করা. কোরআনের আরেক নাম আল-ফুরকান. আল-কোরআন আল্লাহর কালাম.
মুসলমান মাত্রই ইয়াক্বীন ও সৃদৃঢ় বিশ্বাস রাখে যে, কোরআন কারীম মহান আল্লাহর বাণী , আল্লাহর গ্রন্থ. আল্লাহর কথাবার্তা এবং আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত নির্দেশ, যা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা আহ্‌মদ মুজতাবা (সাঃ) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে. হযরত জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে সে সব হুজুর (সাঃ) এর নিকট পৌছিয়েছেন. আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন বলেনঃ

অর্থঃ-বিশ্বস্ত ফেরেস্তা একে নিয়ে অবতরণ করেছে আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শনকারীদের অন্তর্ভূক্ত হন, সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়. (সূরা আশ্‌শুয়ারা ঃ ১৯৩-১৯৫)

হযরত নবী কারীম (সাঃ) কোরআনের বাণী আল্লাহ্‌ তা'আলার নির্দেশ অনুযায়ী স্বীয় উম্মতদের কাছে পৌছে দিলেন. সে নির্দেশ হলোঃ
অর্থঃ-হে রাসূল (সাঃ) পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে. আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তার পয়গাম কিছুই পৌছালেন না. (সূরা আল-মায়েদা, আয়াত-৬৭)
হাদীসঃ- হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) হজ্জের সময় মানুষের সামনে নিজের পরিচয় প্রদান করতঃ বলছিলেন-এরুপ কেউ কি আছে, যে আমাকে তার সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে নিয়ে যাবে. কোরাইশরা তো আমাকে কোরআন প্রচারে বাধা প্রদান করেছে.
আল্লাহ্‌ তাআ'লা কোরআনের আর এক আয়াতে এরশাদ করেনঃ-
অর্থঃ-আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়. (সূরা তাওবা-আয়াতঃ৬)
কোরআন কারীমের বাণী কাদীম অর্থাত্‌ চিরন্তন. আল্লাহ্‌ তাআ'লা যেমন চিরন্তন, তেমন তাঁর বাণীও চিরন্তন, এতে কোন তর্ক-বিতর্কের অবকাশ নেই. 
 Tafsire Quran            Noble Quran              Quran Bangla              Flash Quran1

 Flash Quran2            Flash Quran3             Flash Quran4              Flash Quran5

বাংলা ও ইংরেজী অনুবাদ সহ পুরো ৩০ (ত্রিশ) পারা কোরআন শরীফ